বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের কারও চাকরি যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © ফাইল ফটো

টিডিসি রিপোর্ট

এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তর উঠিয়ে দিলেও বিধি অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের কারও চাকরি যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, এসব শিক্ষকরা কেউ বঞ্চিত হবেন না। চালু করা সংক্ষিপ্ত কোর্স পড়াবেন বা প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। এই স্তরের কোনো  শিক্ষক চাকরি যাওয়ার ভয় পাবেন না।

আন্তর্জাতিক ‘শিক্ষা দিবস ২০২১’ উপলক্ষে রোববার (২৪ জানুয়ারি) ‘রিকভার অ্যান্ড রেভিটালাইজ এডুকেশন ফর দ্য কোভিড-১৯ জেনারেশন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।

রাজধানীর পলাশীতে শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন কার্যালয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে এতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একবারেই ঢেলে সাজাবার একটি চেষ্টা চলছে। আমি আশা করি সকলের সহযোগিতা পাবো। আর কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স নিয়ে কথা উঠেছে, এটি নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে কাজ করছি। কলেজগুলোর বিষয়ে আসলে আমরা জনপ্রতিনিধিরাই দায়ী। এলাকার মানুষদের চাপে আমরা কলেজগুলোয় অনার্স-মাস্টার্স খুলি।

ডা. দীপু মনি বলেন, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষক অনার্স-মাস্টার্স স্তরের নন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীও অনার্স-মাস্টার্সের নয়। সবার জন্য তো অনার্সের প্রয়োজন নেই। এতো অনার্স- মাস্টার্স করে তারপর তারা কী করবেন? কাজেই যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন সেগুলো পাচ্ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করায় ২০১৯ সাল থেকেই অনার্স-মাস্টার্স স্তরের অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যেসব জায়গায় (বেসরকারি কলেজে) অনার্স-মাস্টার্স রয়েছে পর্যায়ক্রমে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কলেজগুলোয় বিভিন্ন ধরনের শর্ট কোর্স পড়ানো হবে। কলেজগুলো থেকে যারা বিএ, বিএসসি ও বি-কম পাস করবেন তাদের বিভিন্ন ধরনের শর্ট কোর্সগুলো যা থাকবে সেগুলোই শিক্ষকরা (অনার্স-মাস্টার্স স্তরের) পড়াবেন। কাজেই অনার্স-মাস্টার্স স্তরের কোনো শিক্ষক চাকরি যাওয়ার ভয় পাবেন না। যারা ইচ্ছুক হবেন তাদের আমরা আবার প্রশিক্ষণ দেবো। তারা বিভিন্ন শর্ট কোর্স যেগুলো হবে সেগুলো পড়াবেন।


সর্বশেষ সংবাদ