দুর্নীতির দায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ওএসডি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:০৯ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:০৯ PM
প্রকল্প আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন (দ্বিতীয় পর্যায়ে) প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুস সবুর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ না নিয়েও বিভিন্ন খাত থেকে ১৭ লাখ টাকা সম্মানী নিয়েছেন এমন অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর তাকে প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেয়া হলো।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ প্রকল্পের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ)। সেখানে প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুস সবুর খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষরে সম্মানী বাবদ সাড়ে তিন মাসে প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া ক্রয়প্রক্রিয়া শুরুর আগেই পৌনে এক কোটি টাকার প্রশিক্ষণ সামগ্রী গ্রহণ করা হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কোনও প্রকার দরপত্র বা ক্রয়বিধি ছাড়াই সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। নিয়ম ভেঙে ব্যয় করা হয়েছে আরও প্রায় ২১ লাখ টাকা।
জানা গেছে, সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ৩১ হাজার ৩৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন ও মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে ক্লাস পরিচালনার জন্য ৬ লাখ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ২০১৬ সালে ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
প্রথমে চার বছর মেয়াদে শুরু হলেও পরে অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে এ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। যদিও প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) এটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী জুনে শেষ হচ্ছে প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ।