বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স থাকবে না
ভবিষ্যতে সরকার দেশের ৩১৫টি বেসরকারি কলেজের অনার্স-মার্স্টার্স কোর্স উঠেয়ে দেবে। এসব কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের পাশাপাশি কারিগরিসহ বিভিন্ন কোর্স খোলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় যেতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা আর সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। ডিগ্রি পাস কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্স করতে পারি।
এর আগে শিক্ষায় বড় পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে সরকার। ২০২২ সাল থেকে নতুন আঙ্গিকে শুরু হবে পড়াশোনা। এ সিদ্ধান্তের আলোকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ে কী পরিবর্তন আসতে পারে তার আভাস দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জাতীয় শিক্ষাকার্যক্রম রূপরেখা এ প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
রূপরেখায় উল্লেখ করা পাঁচটি ধাপে রয়েছে- প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা। এছাড়া প্রস্তাবিত কারিকুলাম অনুযায়ী মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের বিষয় নিয়ে পড়বে দশম শ্রেণী পর্যন্ত। এ স্তরের শিক্ষাকার্যক্রমে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থাকবে না।
এনসিটিভি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভাজন থাকবে না। তব শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো পড়তে পারবে। আগের মতোই গ্রুপ চিহ্নিত করা হবে না। শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক তিনটি বিষয় নিয়ে পরে নৈর্বাচনিক ও ঐচ্ছিক কোন বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।
অনার্স কোর্স না রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি অনার্স কলেজে লেখাপড়া করে চাকরি পান না। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়, যারা এই প্রক্রিয়ার (বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স) মধ্য দিয়ে যান তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।
তিনি বলেন, অভিভাবকদের জন্যেই এটি সুখকর নয়। সন্তানকে পড়ালেন, তাদের একটি চাকরির প্রত্যাশা থাকে, চাকরি হয় না। কোনও কিছু করবে সেটির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারে না। সেসব নানা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি।