শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত
দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে। তবে কতদিন বাড়বে, তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রের তথ্যমতে, করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় সামগ্রিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই খোলা সম্ভব হবে না। ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৩০ দিনের যে এ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে সেটি চলমান থাকবে। এই এ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতেই তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। এছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেটিও সেভাবেই থাকবে। শীতে সব জায়গায় করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চায় না সরকার। তাই চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
এদিকে বুধবার (১১ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সেমিনারে যুক্ত হয়ে সামগ্রিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনলাইন ওই বৈঠকে তিনি বলেন, ১৪ নভেম্বরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে ভাবা হলেও কবে থেকে পুরোপুরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়বে কিনা কমবে সে বিষয়ে আগামীকাল জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলে-মেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা অন্যান্য স্তরে পড়ছেন।