রাবি উপাচার্যের ঘটনায় কাদা ছোড়াছুড়ি উচিত নয়: শিক্ষামন্ত্রী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের (রাবি) উপাচার্যের দুর্নীতি ও শিক্ষকদের কাদা ছোড়াছুড়িকে দুঃখজনক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশের একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন নিয়োগ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এটি নতুন-পুরোনোর বিষয় নয়। যখন কোনো ধরনের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ আসে, অভিযোগ ওঠে, তখন অবশ্যই সেটি নিয়মানুয়ায়ী তদন্ত করে দেখা হয়। সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ এসেছে। ইউজিসি এ ধরনের তদন্তগুলো করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারা সেই তদন্ত করে একটা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এটি আমার কাছে এখনো পোছায়নি। এছাড়া সচিব অসুস্থ থাকায় বিষয়টি বিবেচনায় আনতে পারিনি। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। এই কাদা ছোড়াছুড়িটি হওয়া উচিৎ ছিল না। আমি আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যারা জড়িত আছেন, সকলেই তাদের সম্মান প্রতিষ্ঠানের সম্মান পেশার সম্মান এটিকে মাথায় রেখে যেখানেই কথা বলবেন, এগুলো মাথায় রেখে যেন বলেন।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্ত্য করেন। তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হবে। চেষ্টা করছি খুব সীমিত আকারে হরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কিনা। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর বলেও জানান তিনি।
এসময় করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভিড়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ঝুঁকি রয়েছে কিনা বা সম্ভব কিনা প্রশ্ন রয়েছে। মাধ্যমিকের মতো সীমিত পরিসরে কিছু করা যায় কিনা ভেবে দেখবো। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে মিছিলের তুলনা করা ঠিক নয়। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্পর্ক করা উচিৎ নয়। রাস্তায় কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কথা আসলে সেটার দায় আমাদের। সবকিছু ভেবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোন বিশ্ববিদ্যালয় বলতেই পারে আমরা পরীক্ষা নেব। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও ঝুঁকির কথা ভাবতে হবে। সবাই পরীক্ষা নিলে কী হতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আমরা যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা বলছি, তা করলে কী হবে সেটিও ভাবতে হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের স্বার্থ দেখলে হবে না। ভারতে পরীক্ষা হয়েছে, অন্য দেশ কি করছে দেখবো। বিষয়গুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। যা সম্ভব হবে আমাদের পক্ষে, তার সবটুকুই করবো। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কথা চিন্তা করেই সব করা হবে।’ এ বিষয়ে সামনের দিনগুলোতে সব বলা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।