শীতে নাও খুলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আজ যে সিদ্ধান্ত আসছে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কিনা সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি। এসময় ছুটি ছাড়াও শিক্ষা খাতের আরও কিছু বিষয়ে তিনি কথা বলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই ছুটি আজ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে কতদিন বাড়ানো হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। চলতি বছর বা শীত মৌসুমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর নাও খুলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
জানা গেছে, আজ সংবাদ সম্মেলনের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ওই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হবে না। তাই ছুটি আরও বৃদ্ধি করা হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি রয়েছে। এর আগেই ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।’ তবে কতদিন ছুটি বাড়বে, সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘জানুয়ারিতে নতুন ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আমরা সবগুলো বিষয় বিবেচনায় রাখছি। এখনো শিক্ষাবর্ষ বাড়ানোর কথা বলছি না। কারণ সামনে কি হবে সেটা আমরা বলতে পারছিনা। আমরা এখনো ধরে নিচ্ছি জানুয়ারি থেকেই নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হবে। জানুয়ারিতে নতুন ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে এরইমধ্যে চলতি বছরের প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও। এছাড়াও গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক দফায় সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।