টিঅ্যান্ডটি কলেজের অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিতের নির্দেশ
ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার ও অভিজ্ঞতা না থাকার তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকার টিঅ্যান্ডটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহসীন হোসেনের এমপিওভুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত বুধবার এক চিঠিতে তাঁর এমপিও কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুনে কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মো. মহসীন হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অনুমতি দেয়। যোগদানের পর ঢাকা আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে এমপিওভুক্তির আবেদন করেন তিনি। তবে তখনকার উপপরিচালক এতে সাড়া দেননি।
পরে নতুন উপপরিচালক আসলে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গত বছর মহসীন এমপিওভুক্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। আসাদুল হাসান নামে আরেক শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর ব্যবহারের অভিযোগও ওঠে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
মহসীনকে এমপিও দেওয়া উপপরিচালক সাখায়েত বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইনডেক্স যাচাইয়ের তেমন কোনো সুযোগ আমাদের নেই।’ এছাড়া আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।
কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক এক সদস্য জানান, ফরিদপুর সিটি কলেজে এমপিওবিহীন সাত বছর ও ক্যামব্রিয়ান কলেজে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে মহসীনের। এ অভিজ্ঞতা দিয়ে অধ্যক্ষ পদে তিনি নিয়োগ পেতে পারেন না। যে কাগজপত্র তিনি দিয়েছিলেন তা সঠিক নয়। নিয়োগ বোর্ডের সঙ্গেও মহসীন প্রতারণা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক এনামুল হক হাওলাদার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’