০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:০৯

আরও সহজে এমপিওভুক্ত হতে পারবে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে শর্ত আরও শিথিল করা হচ্ছে। এছাড়া শহর ও গ্রাম পর্যায়ের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে শর্তে ভিন্নতা আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের ষষ্ঠতম বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা সংশোধন শিগগরই চূড়ান্ত করা হবে। নীতিমালায় যে অসঙ্গতি রয়েছে তা নিরসেনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।

এতে শিক্ষকদের চলমান সমস্যা সমাধান হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন সরকার তাই করে যাচ্ছে এবং করে যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্তিতে চারটি শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে— অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। শহর ও মফস্বলে একই ধরনের শর্ত ছিল।

তবে সংশোধিত নীতিমালায় শহর ও গ্রামে শর্তের ক্ষেত্রে ভিন্নতা আনা হচ্ছে। মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে শহরের চেয়ে শর্ত শিথিল করা হয়েছে। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী চারটি শর্তের প্রতিটির মান ২৫ নম্বর করে। মোট ১০০ নম্বরের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হয়েছে।

বিদ্যমান নীতি অনুসরণ করে গত বছর দুই হাজার ৭৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে তালিকা তৈরি হয়। তবে কয়েকটি  প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে বিভিন্ন সমস্যার কারণে। এরমধ্যে মঙ্গলবারের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমপিও দিতে শহর ও গ্রামাঞ্চলে কাম্য শিক্ষার্থী, ফলাফল, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’