৪ বিষয় ও নারী কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিও জটিলতা নিরসন

  © লোগো

বেসরকারি স্কুল-কলেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ভৌত বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছাড়াও নারী কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্তির পথ খুলেছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে এরা নিয়োগ পেলেও এমপিওভুক্তি নিয়ে জটিলতা ছিল।

রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে আলাদা তিনটি আদেশে এসব বিষয় ও নারী কোটার সহকারী শিক্ষকদের এমপিও জটিলতা নিরসন করে দিয়েছে।

এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী এসব শিক্ষক বকেয়া কোনো সুবিধা পাবেন না জানিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের একাডেমিক সনদ, নিবন্ধন সার্টিফিকেট ও এনটিআরসিএর সুপারিশ যথাযথ থাকলে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো-২০১৮ এর শূন্যপদে কর্মরত থাকলে তাদের এমপিওভুক্তি অনলাইনে আবেদনের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, হাইকোর্ট বিভাগের দুটি রিট পিটিশন এবং আপিল বিভাগের দুটি আপিলের আদেশের আলোকে ছয় মাস মেয়াদী কম্পিউটার কোর্সের সনদধারী এবং এনটিআরসিএর নিবন্ধনধারী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি ও ২৮ মে সুপারিশপ্রাপ্তরা শূন্যপদে এমপিওভুক্ত হবেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহকারী শিক্ষক পদে এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রথম নিয়োগচক্রের (২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি ও ২৮ মে) পরবর্তী নিয়োগগুলোর ক্ষেত্রে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০১৮ প্রযোজ্য হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

আরেক আদেশে বলা হয়েছে, নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান), মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) এবং নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) পদগুলোর শূন্যপদে যারা শিক্ষক নিবন্ধন পাস করে দ্বিতীয় নিয়োগচক্রের বিভিন্ন ধাপে এনটিআরসিএ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং পদায়নকৃত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে এমপি নীতিমালা অনুযায়ী শূন্যপদে কর্মরত আছেন তারা এমপিওভুক্ত হবেন।

এছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার ভিত্তিতে নিবন্ধনকারী নারী কোটায় যেসব শিক্ষক এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে শূন্যপদে যোগদান করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তারা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বহাল থাকবেন এবং এমপিওভুক্ত হবেন।

নারী কোটার জটিলতা থেকে সৃষ্ট সমস্যার এই সমাধান শুধু ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ও বিধি মোতাবেক যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে জানিয়ে আদেশ বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কোনো রেফারেন্স (দৃষ্টান্ত) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ভবিষ্যতে মহিলা কোটার নির্দিষ্ট হার পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ‘শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য’ বলে আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করে উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/জেলা শিক্ষা অফিসার, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এনটিআরসিএতে শিক্ষকদের চাহিদা পাঠাবেন। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগদানকৃত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।


সর্বশেষ সংবাদ