এমপিওভুক্তিতে কত টাকা বাজেট থাকছে?
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তর খাতে ব্যয় করার জন্য বরাদ্দ রাখছে সরকার। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বহুল প্রত্যাশিত দাবি আলোর মুখ দেখছে। ইতোমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের সম্মতি থাকায় এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর বহু নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার যোগ্য হলেও সরকার করেনি। পরে এমপিওভুক্তকরণের দাবি নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর এমপিও নীতিমালা তৈরি করে সরকার এবং নীতিমালার আওতায় এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু করে।
এই প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৯ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাইয়ের পর শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৬২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বয়স, শিক্ষার্থী–সংক্রান্ত তথ্য, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার, অবকাঠামো ইত্যাদি বিবেচনায় নেয় মন্ত্রণালয়।
বাছাইকৃতের মধ্যে রয়েছে- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন স্কুল ও কলেজ ১ হাজার ৬২৯টি, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অধীন মাদ্রাসা ৫৫১টি এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৮২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে ৭৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, তিন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে দেশে। সরকারি, এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকার দেয়। এদের অবকাঠামোও তৈরি করে দেয় সরকার। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন ও কিছু ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হয়। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি কোষাগার থেকে কিছুই পান না।