০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৩২

শিক্ষকদের সংশোধীত বদলি নীতিমালার সর্বশেষ তথ্য জানাল মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ছবি

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা সংশোধনের কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণায়ল। সংশোধীত নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি এখনো অনুমোদিত হয়নি।

সোমবার (০১ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের সংশোধীত বদলি নীতিমালা গত সপ্তাহে শিক্ষা সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে দাপ্তরিক কাজের চাপ থাকায় এ নীতিমালা এখনো অনুমোদন হয়নি। চলতি সপ্তাহে সচিবের অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষকদের একটি গ্রুপ সংশোধীত বদলি নীতিমালা জারির দাবি জানিয়েছেন। এ দাবির বিষয়টি বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব বদলি নীতিমালা জারির চেষ্টা করা হচ্ছে। নীতিমালাটি সচিবের দপ্তরে রয়েছে। সচিবের অনুমোদন হলে শিগগিরই এটি প্রকাশ করা হবে।’

নীতিমালা প্রকাশ করতে কতদিন লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে এটি জারি করতে। তবে সেটি সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সংশোধীত বদলি নীতিমালা জারি করা সম্ভব হবে।’

বদলিতে প্রাধান্য পাবে তিন বিষয়
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংশোধীত বদলি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে দূরত্বকে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষকদের বদলি করা হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে দূরত্বটাই আসল। কেননা দিনাজপুরের একজন শিক্ষক সিলেটে কর্মরত রয়েছেন। বদলিটা সবচেয়ে বেশি তারই প্রয়োজন। এজন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দূরত্বকে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

জ্যেষ্ঠতা বিবেচনার ফলে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তরা বদলির ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে যেতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতা রাখতেই হবে। তবে যেহেতু দূরত্ব সবচেয়ে গুরুত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, সেহেতু এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই প্রাধান্য পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।’