০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৫

শিক্ষকদের বদলি নিয়ে নতুন তথ্য জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার তৈরি নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তারা সফটওয়্যার তৈরিতে আগ্রহী নয়। এজন্য নতুন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর মাধ্যমে বদলির সফটওয়্যার তৈরিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে সংস্থাটি সেভাবে আগ্রহ না দেখানোয় এ সফটওয়্যার তৈরির জন্য টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে টেলিটকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। টেলিটক সম্মতি দিলে দ্রুত সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দ্রুত বদলির সফটওয়্যার তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা টেলিটকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। সফটওয়্যার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বদলি কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।’

এদিকে দ্রুত বদলি কার্যকর করার লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকতের বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামছেন। আগামী ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ বদলি-প্রত্যাশী শিক্ষক ঐক্যজোট ব্যানারে আন্দোলনে নামবেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের আহবানে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে সভা করা হয়েছে। সভায় সবাই একত্রিতভাবে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ১০ নভেম্বর এ কর্মসূচি পালিত হবে।’

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির কোনো সুযোগ নেই। এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন তারা। তবে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েন নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা শিক্ষকরা। একইসঙ্গে নারী শিক্ষকদের ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ বন্ধ হওয়ার পর বদলি চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বদলি চালুর উদ্যোগ নেন। প্রাথমিকভাবে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নানা শর্তে বদলি চালুর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে সরকার। এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারির পর মাউশির এক পরিচালকের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। তবে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় নতুন করে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ অবস্থায় দ্রুত বদলি কার্যকর করার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিলি এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংগঠন।