বেতন-ভাতা ও পদবি পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের
পদবী পরিবর্তন, বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ ও শতভাগ উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ।
বুধবার সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি জুলমত আলী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী সচিবালয়ে উপদেষ্টা ও সচিবের দপ্তরে এ স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় তারা তিন হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে কর্মচারীরা উল্লেখ করেন,‘দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীরা বর্তমান পদবী পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বেতন গ্রেড ১১তম, শিক্ষাগত যোগ্যত ভিত্তিতে পদোন্নতি, শতভাগ উৎসব ভাতা, ম্যানেজিং কমিটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংযুক্ত করার দাবি করে আসছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর গত হলেও এমপিওভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। এমনকি একটি দাবিও কোন সরকার বাস্তবায়ন করেননি। এই সময়ের প্রত্যেক পেশাজীবীর পদোন্নতি কিংবা বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। আমরা হতভাগা নিম্নশ্রেণির কর্মচারীরা যে পদে যোগদান করি, সেই পদেই অবসরে যাই।’
তারা বলেন, ‘আমাদের কোন পদোন্নতি নেই। বিগত সরকার ২০০৩ সালে শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের স্কেল ছোট হওয়ায় ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদান করেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে, কিন্তু কর্মচারীদের জন্য এখনো কোন সুস্পষ্ট ঘোষণা দেননি। আমরা যারা ৩৭-৩৮ বছর ধরে উক্ত পদে কর্মরত, আগামী বছর কিংবা পরের বছর অবসরে যাব, আমরা সর্বসাকুল্যে বেতন পাই ১৬ হাজার ৬২০ টাকা টাকা। আমরা ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে চলতে শুধু হিমশিমই খাচ্ছি না, রীতিমত মানবেতর জীবনযাপন করছি। এই বেতন বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারের সাথে বড্ড বেমানান।
এ অবস্থায় আমরা এমপিওভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, বৈষম্য নিরসনে অন্তবর্তীকালীন সরকার, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন করে শতভাগ উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে, আমাদের জীবনযাপনের পথ সুগম করবে।’