একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই কোটা’
চলতি ২০২৫‑২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে জুলাই কোটা যুক্ত করার সুপারিশ করেছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় এ সুপারিশ করা হয়েছে। নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, 'জুলাই কোটা রাখার বিষয়ে ইতিবাচক তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোচনা করে একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।'
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুলাইয়ে যারা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন, তাদের অনেকেই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকেও কেউ কেউ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও মানসিক ট্রমার তারা হয়তো ভালো ফল করতে পারেনি। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কয়েক বছরের জন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে জুলাই কোটা রাখা হতে পারে। পরবর্তীতে এই কোটা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।
২০২৪ সালে প্রণীত সবশেষ নীতিমালা অনুযায়ী—একাদশ শ্রেণিতে বর্তমানে মেধা কোটায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। অর্থাৎ, সবার জন্য ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি করানো হয়। যার মধ্যে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন ২৮টি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়।