২২ মে ২০২৫, ০৯:২৩

আগামী বাজেটে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কতটুকু বাড়বে?

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের। বিষয়টি আমলে শিক্ষকদের বেতন এবং উৎসব ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বেতন কতটুকু বাড়ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা না পাওয়া গেলেও উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশই থাকছে। অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরে যে উৎসব ভাতা পাবেন শিক্ষকরা সেটি আগামী অর্থ বছরেও পাবেন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষকরা এখন থেকে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন। এটি আগামী অর্থ বছরের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া তাদের বেতনও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বেতন কতটুকু বৃদ্ধি পাবে সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে মূল বেতনের ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে শিক্ষকদের।’ 

কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের বাজেট শাখার এ কর্মকর্তা জানান, ‘চলতি কিংবা আগামী অর্থ বছরেও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ছে না। বেতন বাড়বে কি না সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কোনো নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি। ফলে ধরে নেওয়া যায় তাদের বেতনও বাড়ছে না।’

এর আগে গত ১৮ মে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ৫ থেকে ৬ বছরের অবসর-কল্যাণ ভাতা বকেয়া আছে, সেগুলো মেটানো হবে। এ জন্য আসছে বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়বে।

তিনি বলেন, আমি যতদিন শিক্ষা উপদেষ্টা ছিলাম, প্রতিদিন আন্দোলনকারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু দাবি-দাওয়ার কথা শুনেছি। সবাই বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আশা করছি সবকিছু দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারব। শিক্ষাখাতে উন্নয়ন বাজেটে নজর দেওয়া হবে। স্কুলের সমস্যা আছে, বাচ্চাদের স্কুলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা পরিচালন ব্যয় বাজেটে বেশি রাখব, শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

বাজেটে শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, আমি যত দিন শিক্ষা উপদেষ্টা ছিলাম, প্রতিদিন আন্দোলনকারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু দাবিদাওয়ার কথা শুনেছি। সবাই বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।