সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা কারো উপর নিশ্চয়ই চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতান্ত্রিক চর্চা হোক।
বুধবার বিকেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন নিয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনের পর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কী করবেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডাকসু নির্বাচন প্রায় ২৮ বছর পর হলো। আমরা আশা করছি আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং যে কলেজগুলো আছে সেখানেও পর্যায়ক্রমে নির্বাচনে ছাত্র সংসদগুলো গঠিত হবে। কারণ, অনেক দিন হয়নি। কিন্তু এখন যখন আমরা শুরু করেছি কাজেই এখন সব জায়গায় যেন হয়, এটি অনেকদিন ছিল না। আর সব সময় সে রকম থাকা উচিত না, হওয়া উচিৎ। আর আমরা আশা করি যে সেখানেও হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন স্কুলে করছি প্রতি বছর। সেখানে আমাদের কলেজগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হওয়া তো অত্যন্ত জরুরি। এবছরই নির্বাচন হবে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেখা যাক। কারণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাদেরও নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। যেহেতু এটি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আমরা কারো উপর চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতান্ত্রিক চর্চাটি হোক।
স্কুলে ২০১৫ থেকে ছাত্র প্রতিনিধির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিন্তু কলেজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী— প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু ডাকসু হয়েছে, আমি আশা করি বাকিগুলো নিশ্চয়ই হবে। আমরা চাই সবক্ষেত্রে। কারণ স্কুলে যেখানে আমরা করছি, সারাদেশে হাজার হাজার স্কুলে আমাদের ভোটার সংখ্যা কোটির বেশি। সেখানে আমরা যদি এতো সুন্দর ও ভালোভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের সব জায়গায় হওয়া উচিত।