শূন্য পদে বদলির প্রজ্ঞাপন নিয়ে যা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা, নিজ জেলার দূরত্ব, লিঙ্গ ইত্যাদি বিবেচনায় বদলি করা হবে। বদলির প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
গতকাল রবিবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার বদলির বিষয়টি আমার অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। স্বল্প বেতনের শিক্ষকদের জন্য গুরুতর দুর্দশা সৃষ্টি করে, এমন একটি সমস্যা সমাধানের জন্য এটি একটি ব্যয়হীন উদ্যোগ। অথচ ২০১৫ সালে কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর কেন এটি নিয়ে আর চিন্তা করা হয়নি?’
জানা গেছে, একজন শিক্ষক একবারই বদলির সুযোগ পাবেন। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই পদে একাধিক ব্যক্তি বদলির আবেদন করলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক প্রদত্ত মেধাতালিকা বিবেচনায় নেওয়া হবে। মেধাতালিকায় যে এগিয়ে থাকবে তাকেই বদলির সুযোগ দেওয়া হবে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বদলি হবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। আর মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদলির বিষয়টি দেখবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। বদলির কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকশূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদের ৫০ শতাংশ শূন্য থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কাউকে বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে না। বদলির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে। যা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এমপিওভুক্ত নারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। বদলির ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকের নিজ জেলার ঠিকানা, নারী শিক্ষকদের স্বামীর কর্মস্থল, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষকদের নিজ জেলার দূরত্বও বদলির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে। এছাড়া বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের ব্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হবে। একজন শিক্ষককে বদলির আবেদন করার ক্ষেত্রে বর্তমান কর্মস্থলে অন্তত দুইবছর ইনডেক্সধারী হিসেবে চাকরি করতে হবে। এরপর তিনি বদলির সুযোগ পাবেন।