শূন্য পদে বদলির ক্ষেত্রে আরও যেসব শর্ত মানতে হবে

এনটিআরসিএ লোগো ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
এনটিআরসিএ লোগো ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন শিক্ষকরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলি চালুর ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। কীভাবে শিক্ষকরা বদলি হবেন তার একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। এ খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বদলির ক্ষেত্রে সহজ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বদলির ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষক যেন বৈষম্যের শিকার না হন সেজন্য এই শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে।’

বদলির খসড়া নীতিমালা থেকে জানা গেছে, একজন শিক্ষক একবারই বদলির সুযোগ পাবেন। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই পদে একাধিক ব্যক্তি বদলির আবেদন করলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক প্রদত্ত মেধাতালিকা বিবেচনায় নেওয়া হবে। মেধাতালিকায় যে এগিয়ে থাকবে তাকেই বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। 

স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বদলি হবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। আর মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদলির বিষয়টি দেখবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। বদলির কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকশূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদের ৫০ শতাংশ শূন্য থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কাউকে বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে না। বদলির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে। যা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এমপিওভুক্ত নারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। বদলির ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকের নিজ জেলার ঠিকানা, নারী শিক্ষকদের স্বামীর কর্মস্থল, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষকদের নিজ জেলার দূরত্বও বদলির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে। এছাড়া বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের ব্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হবে। একজন শিক্ষককে বদলির আবেদন করার ক্ষেত্রে বর্তমান কর্মস্থলে অন্তত দুইবছর ইনডেক্সধারী হিসেবে চাকরি করতে হবে। এরপর তিনি বদলির সুযোগ পাবেন। 


সর্বশেষ সংবাদ