দুই শ্রেণির বই ছাপার জন্য চূড়ান্ত, শিগগিরই প্রেসে যাবে অন্যগুলোও
২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির বইও যাবে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ চলছে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বইয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছানোর। ছাপার কাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রের লিখিত অভিযোগ, কী ঘটেছিল সে রাতে
প্রতিবছর স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৮৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২৩ কোটি কপি বই ছাপায় এনসিটিবি। তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, মে-জুন মাসে বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রুফ রিডারদের দেখানোর কথা ছিল। তবে এবার সেপ্টেম্বরে বই সংশোধনের ঘোষণা এসেছে। এতে আগামী বছরের শুরুতে সংশোধিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। যদিও জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন এনসিটিবি কর্মকর্তারা।