বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে সবশেষ যা জানাল মন্ত্রণালয়
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তাব করেছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএ’র চিঠির প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কাছে মতামত চায় মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ১-১২তম নিবন্ধনধারী, ১৩-১৪তম এবং ১৭তম নিবন্ধনধারীদের তিনটি বিষয় একত্রিত করে মতামত চাওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মতামত পাওয়া গেছে। তবে ১৩-১৪তম এবং ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্বদের বিষয়ে কোনো মতামত জানানো হয়নি।
ওই সূত্র আরও জানায়, এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কাছে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। তবে যে মতামত দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। ফলে বিষয়টি সহজেই সমাধান হচ্ছে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছ। এই নির্দেশনা অনুযায়ী তারা নিয়োগ পাবেন না। কেননা বিধিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ৩৫ ঊর্ধ্ব এবং সনদের মেয়াদ তিন বছর। ফলে বিষয়টি নিয়ে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে।’
বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমরা অবগত। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতামত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা, ১-১২তম নিবন্ধনধারী এবং ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে এসেছেন। ১-১২তম ও ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছেন। এর প্রেক্ষিতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির প্রস্তাব করে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ’র প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবনার উপর মতামত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।