অঞ্চলভেদে নির্ধারণ হবে স্কুলের বেতন, উন্নয়ন ফি সর্বোচ্চ ৫০০

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নির্ধারণ হবে অঞ্চলভেদে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ব্যক্তিদের অবস্থা ভালো হলে মাসিক বেতন বেশি হবে, আর তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের বেতন কম হবে। জেলা পর্যায়ের স্কুলের বেতন নির্ধারণ করবেন জেলা প্রশাসন (ডিসি)। আর সিটি করপোরেশন এলাকার স্কুলের ফি নির্ধারিত হবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকের মাধ্যম। 

রোববার (৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি সংক্রান্ত ২০১৪ সালের নীতিমালাটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। এজন্য আমরা সভা করেছি। সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন কেমন হবে তা নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্কুলগুলোতে দুইভাবে ফি নেওয়া হয়। একবার বছরের শুরুতে ভর্তির সময় এবং অন্যগুলো মাসিক হিসেবে। বছরে ভর্তির সময় ২০ থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ফি নেওয়া হয়। এই ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে। আর মাসিক বেতন নির্ধারণ করবেন মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক এবং জেলা প্রশাসক বা ডিসিরাউপসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ’

জানা গেছে, তৈরি হতে যাওয়া নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যেসব জেলার অবস্থান ভালো, মানুষজন উচ্চবিত্ত সেসব অঞ্চলের স্কুলগুলোর টিউশন ফি তুলনামূলক বেশি হবে। অর্থাৎ ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া অঞ্চলের স্কুলের মাসিক বেতন তুলনামূলক বেশি রাখা হবে। অন্যদিকে যেসব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে সেসব এলাকার স্কুলের ফি কম নির্ধারণ করা হবে।

ওই সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি স্কুলের উন্নয়ন ফি হবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। পৌরসভা পর্যায়ের স্কুলের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। আর জেলা সদরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ফি হবে ৫০০ টাকা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ফি বাবদ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে ২০০ টাকা করে ফি নিতে পারবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘স্কুলগুলোতে দুইভাবে ফি নেওয়া হয়। একবার বছরের শুরুতে ভর্তির সময় এবং অন্যগুলো মাসিক হিসেবে। বছরে ভর্তির সময় ২০ থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ফি নেওয়া হয়। এই ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে। আর মাসিক বেতন নির্ধারণ করবেন মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক এবং জেলা প্রশাসক বা ডিসিরা।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির জন্য সভা হয়েছে। সভায় অনেকেই অনেক ধরনের মতামত দিয়েছেন। মতামত গুলো চূড়ান্ত করে শিক্ষা সচিবের দপ্তরে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে শিক্ষা উপদেষ্টা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে এটি জিও আকারে জারি হবে। এজন্য আরও কয়েকমাস সময় লাগবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।


সর্বশেষ সংবাদ