শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি করবেন ডিসিরা
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি করবেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। প্রয়োজনে সার্বিক চিত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারবেন তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সার্বিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখার তাগাদা দেওয়া হয়েছে ডিসিদের।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইফুর রহান খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকগণের বিরুদ্ধে নানাধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদত্যাগ/অপসারণের দাবিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকগণ ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এবং স্থানীয় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এরূপ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি বা অন্যান্য কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে মহামান্য চ্যান্সেলর তাদেরকে আইনানুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। সরকারি স্কুল-কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্যদেরকে এই বিভাগ বা মাউশি প্রয়োজনে বদলিসহ তদন্তক্রমে সরকারি কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অনুরূপভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি / গভর্নিং বডি / মাউশি কর্তৃক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষক/ কর্মকর্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ / দপ্তর তদন্ত বা অনুসন্ধান সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষাঙ্গণের পরিবেশের উন্নতিবিধানে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।