পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ বাদ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে গল্পটি পাঠ্য বই থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। শরীফার গল্পের জায়গায় হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন একটি গল্প রাখা হবে।
সম্প্রতি এনসিটিবিকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে আরেকটি গল্প সংযোজন করতে জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া যেতে পারে। গল্পের পরিবর্তে নতুন গল্প সংযোজনের করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। সেই আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, চলতি বছরে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আপত্তি তোলে একটি পক্ষ। মূলত শিক্ষক আসিফ মাহতাব একটি অনুষ্ঠানে বই থেকে ওই গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন এবং অন্যদেরও ছেড়ার আহ্বান জানান।
মাহতাবের বই ছেড়ার সেই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে পরিমার্জনের লক্ষ্যে ২৪ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বাদ পড়লো শরীফার গল্প।