দুই বিষয়ে ফেল করলেও কলেজে ভর্তি, ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর
নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আগামী ২০২৬ সাল থেকে নতুন এই শিক্ষাক্রম কার্যকর হবে।
বুধবার (৫ জুন) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪ উপলক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এসএসসিতে ২ বিষয়ে অকৃতকার্য হলে ধাপ অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হতে পারবে। তবে তারা এসএসসির সনদ পাবে না কিন্তু নম্বরপত্র দেয়া হবে। ২০২৬ সাল থেকে নতুন এই শিক্ষাক্রম কার্যকর হবে।
তবে এ পদ্ধতি চালু হলে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৮ মে কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে প্রতিবেদনটি পাস হয়। এখন এনসিটিবি বোর্ড সভা হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত হবে।
গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম, চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৬ সালে হবে এসএসসি পরীক্ষা। এরপর শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক― এই সাতটি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক। বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে; কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই।