এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানো নিয়ে যা জানা গেল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১০:০৩ AM , আপডেট: ১২ মে ২০২৪, ১০:১০ AM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানো নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আসন্ন বাজেটে এজন্য বরাদ্দ চাওয়া হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
জানা গেছে, শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর কার্যক্রম তদরকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. রবিউল ইসলামকে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ শিক্ষকের বাড়িভাড়া বাড়াতে হলে অতিরিক্ত কত টাকা বরাদ্দ লাগবে তা বের করতে মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখায় বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়ার ভাতা বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেব। এতদিন আমরা অবকাঠামোর বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এবার শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতার জন্য বরাদ্দ চাইছি।’
এর অগে গত ৪ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পার করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পোস্টটিতে মন্তব্যের ঘরে অনেকে শিক্ষামন্ত্রীর এমন আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। এ কে লস্কর নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, আপনার মুখে বেতন ভাতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে, এই কথা শুনতে চাই না। আপনি শিক্ষকদের অবিভাবক, তাই আপনার মুখে শুনতে চাই, জুনে অথবা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বেতন ভাতা বৃদ্ধি পাবে। যদি, তবুও, চলমান আছে, গবেষণা চলছে, কমিটি গঠন করা হয়েছে, এমন অনিশ্চিত কথা শিক্ষকরা বহু শুনছে। তারা আর এই ধরনের কথা বিশ্বাস করে না। তাই কবে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করবেন, তার সঠিক সময় বলবেন। তাহলে সব শিক্ষক খুশি হবেন এবং আপনাকে মন থেকে দোয়া করবেন এবং আপনাকে চিরজীবন মনে রাখবেন।’
এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘দেশে শিক্ষকতায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তার করে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। তা না হলে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।’