০৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

ইসকন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী  © সংগৃহীত

নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকনের সদস্য হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটান অনেকেই। তাছাড়া নতুন কারিকুলামে প্রসঙ্গটি টেনে তাকে জড়িয়ে বক্তব্যও দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

তবে একটি রাজনৈতিক দল এই ধরনের মানহানিকর ও আপত্তিকর কথাবার্তা প্রচার করে নোংরা অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমি নাকি ইসকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য। আমি ইসকনের সদস্য হয়ে ভিন্ন সংস্কৃতি শিক্ষাক্রমে ঢুকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য হচ্ছে এটি একবারে একটি আপত্তিকর, মানহানিকর এবং ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য। তাই এখানে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা বলে এবং আমার বক্তব্য বিকৃতি করে যারা এই অপরাজনীতিটা করছে, আমি মনে করি তারা শুধু দেশের শত্রু নয়। তারা এই বাংলাদেশে একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যেখানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগোষ্ঠী দ্বীনি ইসলামের শান্তিময় চর্চা, সেটাকেও তারা ব্যাহত করে অশান্তির চার্চা শুরু করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক একটি পরিস্থিতি বা অবস্থা তারা এখানে চাই, ধর্মে ধর্মে হানাহানি, সংঘাত সেগুলোকে উসকে দিতে চায় এবং সেগুলো করার জন্যই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সমাজ ও অর্থনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচিন্তা থেকে তারা এসব করছে। তবে আমরা এসব হতে দেব না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি ইসকনের সদস্য নই। আমি একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। আমার বাবা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ কেন্দ্রে, পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক হিসেবে আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইসকনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়া মানে এই নয় যে, আমি ইসকনের সদস্য। ইসকনের সদস্য হিসেবে আমাকে প্রচার করা হচ্ছে, আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) হলো গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইসকনের মূল ধর্মবিশ্বাসটি শ্রীমদ্ভাগবত, ভগবদ্গীতা ও অন্যান্য বৈদিক শাস্ত্রসমূহের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আধ্যাত্মিক সমাজে এটি ‘হরেকৃষ্ণ আন্দোলন’ নামেও ব্যাপক পরিচিত।