৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৬

পাঠ্যপুস্তকের লেখা নিয়ে বিতর্ক, সংশোধন নিয়ে যা বলল এনসিটিবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ (এনসিটিবি) লোগো  © সংগৃহীত

নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকের নানা ভুল ও অসংগতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সারা দেশে। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এবার পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে বিবৃতি দিল সরকারের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষাক্রম বোর্ড (এনসিটিবি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্য প্রদান করা হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মানিত শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষানুরাগী, সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যে সকল বিষয় উঠে এসেছে তা আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। উল্লেখ্য যে, বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিতকরণের সনির্বন্ধ অনুরোধ জ্ঞাপন করেছিলাম। আপনারা আমাদের সে আহবানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। 

এতে আরও বলা হয়, আপনাদের এই তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে আমাদের বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ণপূর্বক সংশোধনীসমূহ অতিদ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। যারা আমাদের নানা তথ্য, উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

উল্লেখ্য সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প নিয়ে বিতর্ক, নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের মানচিত্রে ফিলিস্তিনকে বাদ দিয়ে ইসরাইলের নাম ব্যবহার করা, নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে কোচিংয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করে বসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে সরকার প্রণীত নতুন পাঠ্যবইয়ে।