আগামী বছর স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছুটি পাবে ৭৬ দিন
দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৭৬ দিন ছুটি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া এ ছুটি পাবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোয় শুক্র ও শনিবার ছাড়া মোট ৭৬ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ঈদুল ফিতরসহ অন্য ছুটি থাকবে ১১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৩ জুন থেকে ২ জুলাই ও দুর্গাপূজার ছুটি ৯–১৭ অক্টোবর।
শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। সরকার ঘোষিত নির্দেশনার আলোকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে। উল্লিখিত মূল্যায়ন/পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন, অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষণ, বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং মূল্যায়নের কাগজপত্র ও বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত ১ (এক) বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি মূল্যায়ন/পরীক্ষার সময় ১০/১২ কর্মদিবসের বেশি হবে না।
২০২৪ সালের স্কুলের ছুটির তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতিত) নিজেরাই প্রণয়ন করবেন। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া যাবে না। মূল্যায়ন/পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে মূল্যায়ন/পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা /পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না। ছুটিকালীন অনুষ্ঠেয় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন ও অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে
হবে।
এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ব্যতিত অন্যান্য বিদ্যালয়সমূহে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। ৯. জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস যথা: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, বাংলা নববর্ষ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসসমূহ উদযাপন করতে হবে।
১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন ও শিক্ষাসপ্তাহ পালন করতে হবে।