সম্পদ ও ঋণ দুটোই বেড়েছে শিক্ষামন্ত্রীর
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সম্পদ ও ঋণ দুটোই বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গাড়ি বাবদ এক্সিম ব্যাংকে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৯০৫ টাকার ঋণ দেখালেও এবার বেড়েছে কয়েক গুণ।
আগে ছিল ৩৫ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট। পাঁচ বছরে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন ডা. দীপু মনি। তবে এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৩ টাকা ব্যক্তিগত ঋণও রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামায় বার্ষিক আয় হিসেবে সম্মানী ভাতাসহ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছেন ৯৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪ টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্রে রয়েছে তিন লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৪ লাখ এক হাজার ৯৫৭ টাকা মূল্যের ১০ কাঠা জায়গা আর তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার তিনটি ফ্ল্যাট।
অন্যদিকে স্বামীর নামে দেখানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট। ২০১৮ সালে স্বামীর নামে ৪০ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট দেখানো হয়েছিল। হলফনামায় পেশা থেকে কোনো আয় দেখানো হয়নি। তবে গত একাদশ নির্বাচনে পেশা থেকে আয় ছিল বছরে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ প্রার্থীর নগদ অর্থ রয়েছে ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা। তার স্বামীর নগদ অর্থ ১১ লাখ ২ হাজার টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৮৬ টাকা। স্বামীর নামে বন্ড ও স্টক একচেঞ্জে আছে ৪৫ লাখ টাকা। তবে সোনার পরিমাণ বাড়েনি। এবারও নিজের নামে ৯ লাখ টাকা ও স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকার সোনা দেখিয়েছেন ডা. দীপু মনি। তবে ৪৬ লাখ টাকার পাজেরো গাড়ি বাদ দিয়ে এবার হলফনামায় উঠে এসেছে ৬০ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি। স্বামীর রয়েছে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেটকার।
ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩ সদর ও হাইমচর আসন হতে টানা চারবারের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।