উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ অসুস্থ যাত্রীকে চিকিৎসা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
মাঝ আকাশে হঠাৎ অসুস্থ বিমান যাত্রীকে চিকিৎসা দিয়েছেন বিমানে থাকা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার ভারতের দিল্লি থেকে দেশে ফিরছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় বিমানে থাকা এক নারী যাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি নজরে আসলে ওই যাত্রীর কাছে ছুটে যান ডা. দীপু মনি। নিজের চিকিৎসা বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে দুই ঘণ্টা ওই নারীকে চিকিৎসা সেবা দেন।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন।
এদিকে মাঝ আকাশে বিমানের যাত্রী চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলায় শিক্ষামন্ত্রী প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন মন্ত্রী হয়েও সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তার উদ্দেশ্যে নানা প্রশংসামূলক মন্তব্য করে চলেছেন।
রতন কুমার মজুমদার নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,‘‘মন্ত্রী এমপি হওয়া যায় কিন্তু একজন দীপু মনি হওয়া সহজ নয়। রাজনীতি যদি মানুষের কল্যাণের জন্য হয় তবে এমন রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা কতজন ? রাজনীতি করতে হলে, মানুষের মনের গহীনে আসন করে নিতে হলে নিজস্ব সকীয়তা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যেই নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরা যায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন রাজনীতি করা মানুষগুলোকেই তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু যেমন চিনে নিয়েছিলেন জাতীয় চার নেতাকে তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যাও কয়েকজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করা মানুষকে সাহচার্যে রেখেছেন।
সহনশীলতা, ঔদার্য, বিনয়াবনতা, ভদ্রতা একজন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে রাজনীতির শিখরে। দীপু মনি তাদেরই একজন। আমি অনেক সময় অবাক বিস্ময়ে ভাবি একজন রাজনীতিবিদ কতটুকু মার্জিত রুচি, ভদ্রতা এবং বিনয়ী হতে পারে। কিভাবে মানুষকে আপন করে নিতে হয়, মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করতে হয় দীপু মনির কাছে তা শিখতে হয়। প্রতিনিয়ত শিখছি ঔদার্যতা দিয়ে কিভাবে মানুষকে আপন করে নেয়া যায়। ন্যায় নীতির মধ্যে থেকে কিভাবে রাজনীতি করা যায়। চরম সংকটেও কিভাবে নিজেকে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি অবিচল থাকতে হয়। তাইতো তিনি দীপু মনি। দীপু মনিরা উঠে আসে সমহিমায়।’’
কামরুন নাহার নামে একজন লিখেছেন, ‘‘এমন একজন মানবিক মানুষকে আমরা আমাদের শিক্ষা পরিবারের অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি এটা আমাদের সৌভাগ্য। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য সহযাত্রী তিনি। শ্রদ্ধা জানাই। অসুস্থ মানুষটির কী খবর জানালে খুশি হতাম।’’