ইবতেদায়ি প্রধান পদের নিয়োগ কমিটির হাতে যাচ্ছে
বেসরকারি মাদ্রাসায় ইবতেদায়ি প্রধান পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের কমিটির হাতে যাচ্ছে। এর ফলে আবারও অনিয়মের এবং আর্থিক লেনদের মাধ্যমে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
জানা গেছে, ইবতেদায়ি প্রধান পদটি আগে এন্ট্রি লেভেলের পদ ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের নভেম্বরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধিত আকারে প্রকাশ করা হয়। নতুন এমপিও নীতিমালায় এটি পদোন্নতি যোগ্য পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুসারে, ইবতেদায়ি প্রধান পদে নিয়োগ পেতে জুনিয়র মৌলভি পদে আট বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। সেজন্য ইবতেদায়ি প্রধান পদে আবেদনের সুযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইবতেদায়ি প্রধান পদে নিয়োগের জটিলতা নিরসনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনটিআরসিএ মতামত চেয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে চিঠি পাঠায়। বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রস্তুত করেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইবতেদায়ি প্রধানদের নিয়োগের বিষয়টি পুনরায় কমিটির মাধ্যমে দেওয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঈদের আগেই এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে জানাবে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) বেগম শাহনওয়াজ দিলরুবা খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইবতেদায়ি প্রধানদের বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত প্রস্তুত করেছি। ইবতেদায়ি প্রধানদের নিয়োগ আগের প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ কমিটির মাধ্যমে হবে। যারা ইবতেদায়ি পদের সনদ অর্জন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে ৮ বছরের অভিজ্ঞতা শিথিল করা হয়েছে। এই মতামত শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে।