নতুন শিক্ষাক্রম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; সেজন্য আমাদের স্মার্ট শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম সে লক্ষ্যে কাজ করবে; শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে নতুন করে শিখবে, নিজের মতো করে শিখবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) জীবনের বিদ্যালয় (স্কুল অব লাইফ) ধারনাকে উৎসাহিত করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে এসটিএস গ্রুপের উদ্যোগে ‘গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ (জিআইএস) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়তে তাদের স্বপ্ন দেখাতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে হবে। তার ইতিহাস-ঐতিহ্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। শিক্ষার্থীদের তার শিকড় সম্পর্কে জানতে হবে; আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে—তা জানতে হবে।
দীপু মনি বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করবে। শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আরও অনেক দূর যেতে চাই; আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। আমরা তৃতীয় শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীদের কোডিং শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা প্রযুক্তি নিয়ে জানতে পারছে, শিখতে পারছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীর মামলা
শিক্ষার্থীদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার মান বাড়াতে কাজ করছি। এখন আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর কোনো টিনের চালা নেই; তার মানে যে একদম খুব ভালো অবস্থান আছে তা নয়। অর্থাৎ মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে যা দরকার নতুন শিক্ষাক্রমে তা সংযুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, এদেশের শিক্ষা নিয়ে আমরা আরও দূর যেতে চাই; অনেক পথ পাড়ি দিতে চাই। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছি। সেক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি; আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, বৃটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. রমেশ মুদগাল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এসটিএস গ্রুপ স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা খাতের সেবা প্রদানকারী বৃহত্তম বাংলাদেশী সম্মিলিত সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি। দেশে বৈশ্বিক নেতৃত্বের সহযোগিতায় বিশ্বমানের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে শিল্প গ্রুপটি। দেশের শিক্ষাখাতে ডিপিএস এসটিএস স্কুল, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা এবং এসটিএস স্কুল সানভ্যালি’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করছে এসটিএস। এছাড়াও দেশের স্বাস্থ্যসেবায় এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা, এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম এবং এসটিএস নার্সিং কলেজের মালিকানায় রয়েছে শিল্প গ্রুপ এসটিএস।