রাজনৈতিক বিবেচনায় এমপিওভুক্ত হচ্ছে ৮৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দেশের আরও ৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করতে একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীদের খুশি করতে এমপিওভুক্তির এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় কর্তাদের ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে কোনো তদবিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় বলছে, যে সকল স্কুল-কলেজের যোগ্যতা রয়েছে কেবল তাদেরই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী যাদের যোগ্যতা রয়েছে কেবল সেই প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করাr পর মন্ত্রী ও এমপিরা ডিও লেটার দিয়েছেন। প্রথম তালিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৩টি থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত সোমবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১টিতে। মঙ্গলবার আরও দুটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত করে মোট ৮৩টি স্কুল-কলেজের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এমপিও শাখার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য পাঠানো তালিকার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিকের ৩২টি, মাধ্যমিকের ১৫টি, উচ্চ মাধ্যমিকের ১২টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ২০টি এবং ডিগ্রি কলেজের ছয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পেছনে সরকারের বার্ষিক খরচ হবে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ৯১০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব (মাধ্যমিক- ২) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ বলেন, এমপিওভুক্তির তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তালিকা শিক্ষামন্ত্রীত দপ্তরে রয়েছে।