১৭ মার্চ ২০২৩, ১৩:৩১

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির নামে অরাজকতা নয়— চিঠি ইউজিসির

লোগো  © ফাইল ছবি

দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহিংসতা চললেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেন এ ধরনের কোনো ‘অরাজকতা’ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই সভা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গেল সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির বৈঠকের সূত্র ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিতে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যেন ছাত্র রাজনীতির নামে কোনো অরাজকতা না হয় সে বিষয়ে ইউজিসিকে সতর্কতা অবলম্বন ও নিয়মিত মনিটরিং করতে বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির ‘রেকর্ড অব ডিসকাশন্স’ অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যেন ছাত্র রাজনীতির নামে অরাজকতা না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও নিয়মিত মনিটরিং করার অনুরোধ করা হয়েছে।

ইউজিসির চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলে বা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্থানীয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার ও কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: সংঘাত-সংঘর্ষে অস্থিরতা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে

এদিকে, ঠিক একই সময়ে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এছাড়া গেল কয় মাসে আরও একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

জানতে চাইলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা সিদ্ধান্ত ছিলো। সে সিদ্ধান্তের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ইউজিসিকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তবে সংঘাত-সহিংসতা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও চিঠি কেন শুধুমাত্র প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো জবাব দেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পাবলিক আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থায়ন করে সরকার আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় ট্রাস্টের মাধ্যমে। এ ছাড়া কোনো পার্থক্য থাকা উচিত নয়। একই অপরাধে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ব্যবস্থা থাকতে হবে।