মন্ত্রণালয়ের ভুলে বিভ্রান্তিতে শিক্ষকরা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নন-এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী রোববার সভা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে নোটিশে ভুলের কারণে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখা থেকে সভার নোটিশ জারি করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মো. মিজানুর রহমান।
মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩য় বিজ্ঞপ্তিতে (এনটিআরসিএ) কর্তৃক নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে কিছু এমপিওভুক্ত হয়েছেন। আর কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। উল্লিখিত বিষয়ে যৌক্তিকতা পর্যালোচনাসহ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সভা ডাকা হয়েছে।’’
তবে নোটিশটি মূলত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নন-এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য জারি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওবঞ্চিত শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে এই সভা ডাকা হয়েছে। তবে সভার নোটিশে এ ধরনের ভুলের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে জারি করা নোটিশটিতে বড় ধরনের ভুল হয়েছে। নোটিশটি মূলত তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নন-এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য জারি করা। তবে মন্ত্রণালয় লিখেছে নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত। নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মো. হাবিবুর রহমান নামে এক শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্যাটার্ন জটিলতার কারণে এমপিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও পদে সুপারিশ পেয়েও আমরা এমপিওভুক্ত হতে পারিনি। এজন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরুর করে সব দপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সভা ডাক হয়েছে। তবে সভার নোটিশে এই ধরনের ভুল কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এটি মেনে নেওয়ার মতো না।
নোটিশে ভুলের বিষয়ে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-৩) মো. মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।