২৪ অক্টোবর ২০২২, ২২:১২

সিত্রাংয়ের আঘাতে ৩ বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

  © লোগো

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর আঘাতে ৩ বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে, সিত্রাং-এর প্রভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও। অন্যদিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের উপকূলের প্রায় প্রতিটি জেলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

সর্বশেষ আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ মধ্যরাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূল এবং সেখানকার চর ও দ্বীপগুলোকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।