১৩ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪২

তদন্তের আগেই শিক্ষিকাকে চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠি

বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ  © ফাইল ছবি

তদন্তের আগেই একজন সিনিয়র শিক্ষিকাকে চরিত্রহীন ও অসৎ আখ্যা দিয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা। যা ২৫ বছর শিক্ষকতা করা ওই শিক্ষিকাকে হেয় করেছে বলে শিক্ষিকা দাবি করেছেন।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ১০ অক্টোবর বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কম্পিউটার বিভাগের চিফ ইন্সট্রাক্টর আয়েশা চৌধুরীকে চরিত্রহীন ও অসৎ আখ্যা দেয়া হয়।

পাশাপাশি ওই চিঠিতে বলা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক অন্যত্র বদলি করার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই চিঠি ১০ অক্টোবর ইস্যু করেছে।

গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন। চিঠি পেয়ে তিনি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা করেছেন। ওই সভায় এমন নির্দেশনার নিন্দা জানিয়েছেন কলেজের সব শিক্ষক। একইসঙ্গে তারা এই চিঠি পরিবর্তন করে অনতিবিলম্বে সংশোধনী প্রদানেরও দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইসলাম গ্রহণ নিয়ে যা বললেন জবির সেই শিক্ষিকা

কলেজ অধ্যক্ষ জাকির হোসেন জানান, উপসচিব স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাকে চরিত্রহীন ও অসৎ বলা হয়েছে যা একেবারে নিন্দনীয়। চিঠির ভাষাগত ব্যবহার আক্রমণাত্মক ছিল। চিঠিতে অভিযোগকারী হিসাবে যাকে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নামে তার প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষক নেই।

শিক্ষিকা আয়েশা চৌধুরী বলেন, আমরা এর পূর্বে সবসময় দেখেছি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত হলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় অভিযোগকারীর অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে। কোনো চিঠির বিষয়তো কখনোই উল্লেখ করা হয় না অভিযোগ করে কি লিখেছেন।

আয়েশা চৌধুরী বলেন,তবে মন্ত্রণালয় ১০ অক্টোবর যে চিঠি ইস্যু করেছেন সেখানে সরাসরি আমাকে চরিত্রহীন এবং অসৎ তারাই ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে ইস্যুকৃত চিঠির বিষয়ে আমাকে অন্যত্র বদলির নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। কারণ যিনি অভিযোগকারী তাকে বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা কিংবা কর্মচারী কেউই চিনেন না।