০২ অক্টোবর ২০২০, ০৯:০৪

দূরশিক্ষণের আওতায় আসছে বিদ্যালয়ের ২৫ লাখ শিক্ষার্থী

  © ফাইল ফটো

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চলমান পরিস্থিতি নিরসনের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দূরশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেবে। আর বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এরইমধেই প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি পুষাতেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে উপবৃত্তিসহ পুনঃভর্তি কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কনটেন্ট তৈরি করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের কার্যক্রম অধিক হওয়ায় প্রকল্পটির কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান হিসেবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে বলা হয়েছে, শিক্ষা খাতে কনটেন্ট ডেভলপমেন্টের কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন। ‘বাতায়ন’ নামে একটি ওয়েব সাইটে সব ধরনের কনটেন্ট ডেভলপ করা হয়ে থাকে। লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য শ্রেণী ও বিষয়ভিত্তিক ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হবে।

এতে আরো বলা হয়, লার্নিং লসের ফলে শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল তথা দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করা হবে। বিষয়ভিত্তিক ডিজিটাল কনটেন্ট কনসিয়াস ও প্রেসিস করে এর মাধ্যমে পার্বত্য এলাকাসহ ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে একীভূত দূরশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামের এ প্রকল্পের আওতায় ৩৫টি বিষয়ের ওপর ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হবে।

চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ৩ কোটি ৮৬ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। এর আগে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সকল বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই প্রকল্প নিয়ে সভা করেছি। কিছু বিষয় পরিষ্কার হতে আরও সভা করা হবে। আইসিটিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে। টিকা না আসা পর্যন্ত আমরা নিরাপদ নই। এ কারণেই এ প্রকল্প।

এ সময় তিনি আরো বলেন, গ্রামের প্রতিটি স্কুলে ইন্টারনেট যাবে। মোবাইল কিনে দিলেই হবে না নেট সংযোগ থাকতে হবে। তবে নেটও এখন দুর্বল। এটা নিয়ে আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা সব বিষয় পরিষ্কারভাবে দেখেই প্রকল্পটি অনুমোদন দেব।