০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫৭

করোনার ক্ষতি পোষাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ১২৬ কোটি টাকার প্রকল্প

  © ফাইল ফটো

করোনার থাবায় থমকে গেছে দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে এতে সরকারের কোনও অর্থ ব্যয় হবে না।

সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ১৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)। অবশ্য সংস্থার কাছে ২০ মিলিয়ন ডলার চেয়ে আবেদন করার উদ্যোগ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

তবে সংস্থাটি ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে এ টাকা ছাড় হবে। এ বিষয়ে মো. আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্কুল খুললে প্রকল্পের সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যে নির্দেশনা তৈরি হয়েছে, তা বাস্তবায়নে এই অর্থ দেওয়া হবে।’

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলা ও উত্তরণের জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে একীভূত দূরশিক্ষণ সহায়তা দেওয়া। এর আওতায় ১২ লাখ ৪৫ হাজার ছাত্র ও ১২ লাখ ৯৫ হাজার ছাত্রী রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্প। এটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পুরো প্রকল্পটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে। আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি, মূল্যায়নে (পরীক্ষা) ও লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণে সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় বিদ্যালয় ব্যবস্থার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, দূরশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে। এজন্য সব ধরনের কারিগরি সহায়তাও নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যালয় খোলার পর প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীও দেওয়া হবে।

এছাড়া দুর্গম এলাকার এক লাখ ৫০ হাজার শিশুকে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করা হবে। দুই লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তাদের স্কুলে ভর্তিতে সহায়তাও করা হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। এছাড়া এর মাধ্যমে অসম পঠন-পাঠন সমস্যার সমাধানও হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আরও কিছু ক্ষেত্রে এ প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে বলে জানা গেছে।