মুসলিম শিক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি ফি আদায় বন্ধ করল সুন্দরবন কলেজ

  © সংগৃহীত

খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অন্য ধর্মীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় মুসলিমদের নিকট থেকে ভর্তি ফি হিসেবে বাড়তি অর্থ নেওয়া হচ্ছে। এটি নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তিতি সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম বিডি ফ্যাক্টচেকের নিকট এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক অভিজীৎ বসু। এছাড়া কেন মুসলিম ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ফি ভিন্ন ভিন্ন, তাও ব্যাখ্যা করেছেন কলেজ প্রিন্সিপাল।

অধ্যাপক অভিজীৎ বসু জানান, ৩০টির বেশি খাতে খরচের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি নেয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘ধর্মীয় খাত’। এই খাতে সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সমান পরিমাণ অর্থ ফি হিসেবে রাখা হয়।

অভিজীৎ বসু বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এখানে যোগ দেই। তার আগে প্রিন্সিপাল ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম। তার সময় কলেজের মসজিদের উন্নয়ন সংক্রান্ত কিছু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে জন্য তার তত্ত্বাবধানে মসজিদের উন্নয়ন ব্যয়ে খরচ করার জন্য মুসলিম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরও আগের বছরগুলোর সিদ্ধান্ত অনুসারেই মুসলিম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুই হাজার ৭৮০ টাকা এবং অমুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজার ৭৩০ টাকা একাদশ শ্রেণির ভর্তি ফি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।’

তবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার কারণে বাড়তি ৫০ টাকা ফি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি বিষয়টি অনেকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন। আসলে আমরা পূর্বের বছরগুলোর ধারাবাহিকতা অনুসরণ করেছি মাত্র। যেহেতু বিতর্ক উঠছে ফলে আমি নির্দেশ দিয়েছি সব শিক্ষার্থীদের জন্য সমান ফি রেখে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের।’


সর্বশেষ সংবাদ