একাদশে ভর্তির আবেদন সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী। গত ৯ আগস্ট আবেদন শুরুর পর বৃহস্পতিবার রাতে (২০ আগস্ট) প্রথম পর্যায়ের আবেদন নেওয়া শেষ হয়। এবার শুধু অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভর্তির কাজ হচ্ছে। ঢাকা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর জানান, বিকেল পর্যন্ত ১৩ লাখ ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, একাদশে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ে আরও দুই দফা আবেদনের সুযোগ থাকছে। অবশ্য তখন আবেদন কম থাকে। ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কমপক্ষে পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পেরেছেন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে আবেদনকারী ও কলেজের আসনসংখ্যা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত হলো, সেটি বাছাই করা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৫ আগস্ট।
দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে চলবে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। এরপর ভর্তির নিশ্চয়ন, মাইগ্রেশনের প্রক্রিয়া শেষে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ভর্তির কাজ করা হবে।
এবার একাদশে ভর্তিতে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটা ছাড়া অন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। তবে প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির শিক্ষার্থী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
গত ৩১ মে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। তবে করোনার কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছিল। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন উত্তীর্ণ হয়।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। একাদশ শ্রেণিতে সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে প্রায় ২২ লাখ। আসন নিয়ে সংকট না হলেও ভালো কলেজগুলোয় আসন কম থাকায় অনেকে প্রত্যাশিত কলেজে ভর্তি হতে পারবে না বলে জানা গেছে।