০৯ আগস্ট ২০২০, ১৩:৪৮

এই দুই বিদ্যালয়ের নাম মুখে নিতেও বিব্রত হন শিক্ষার্থীরা!

  © সংগৃহীত

গ্রামের নাম ‘খনকারীপাড়া’ হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ঋণকারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। আর ‘গন্ধা’ গ্রামের বিদ্যালয়ের নাম হয়েছে ‘গনজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে হাসি-ঠাট্টা চলছে দীর্ঘদিন। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বিদ্যালয় দু’টি।

জানা গেছে, নাম সংশোধনের জন্য স্থানীয়রা দাবি জানালেও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে শ্রুতিমধুর না হলে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে স্বোচ্চার হয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, উপজেলার খনকারীপাড়া গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সনে। তখন গ্রামের নামেই বিদ্যালয়ের নামকরণ হয়। তবে ভুল করে খনকারীপাড়ার পরিবর্ততে সে সময় লেখা হয় ঋণকারী পাড়া। একই অবস্থা গন্ধা গ্রামের বিদ্যালয়েও। লেখা হয়েছে গনজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রবীণরা জানিয়েছেন, নামকরণের সময় বানান ভুল হয়েছে। এনিয়ে বাইরে থেকে আসা লোকজন হাসিঠাট্টা করেন। বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। সরকারিভাবে নাম পরিবর্তনের সুযোগ আসায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি তাদের।

ঋণকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন দাশ বলেন, গ্রামের নামেই বিদ্যালয়ের নাম। কিন্তু খনকারীপাড়া না লিখে ঋণকারিপাড়া লেখা হয়েছে। এ নাম উচ্চারণ করতে শিক্ষার্থীরা বিব্রতবোধ করে। নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হলেও কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।

আর ‘গনজা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার চৌধুরী পান্না বলেন, গ্রামের নামে হয়েছে স্কুলটি। কিন্তু যুক্তবর্ণ লিখতে এই ভুল হয়েছে। গনজা শব্দের কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেও কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘শ্রুতিমধুর নয়; এমন বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি এসেছে। বিষয়টি নিয়ে মিটিং করা হবে। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।