ঈদের পর সুখবর পাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মে ২০২০, ০৬:১৭ PM , আপডেট: ২৪ মে ২০২০, ০৭:৪৪ PM
করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় অবস্থায় দিন পার করা নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সুখবর পাচ্ছেন। তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। অন্যদিকে সব জেলা প্রশাসকদের কাছে নন-এমপিও শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের তথ্য, ইতোমধ্যেই জরুরিভিত্তিতে মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে সরকার। ২৮ মের মধ্যে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ই-মেইলে তথ্য প্রদান করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে তারা প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় প্রণোদনা চেয়ে প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পায়নি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামান্য হলেও প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে তা চূড়ান্ত হয়নি। নির্ধারিত ছকে নন-এমপিও স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা চেয়েছেন তারা। ছকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিকাশ, রকেট, নগদ ও শিওর ক্যাশের নম্বরও দিতে বলা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে নামের বানানসহ এনআইডি নম্বর।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্ধারিত ছকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ছকে বিকাশ নম্বরও চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি শিক্ষকদের কষ্টের কথা জেনে আবেদনে সাড়া দিয়েছেন।’
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার ২৪২টি। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। নতুন এমপিও পেয়েছে দুই হাজার ৭৩৭টি। স্বীকৃতির বাইরে রয়েছে আর দুই হাজারের বেশি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, ছক মোতাবেক তথ্যাদি আগামী ২৮ মে’র মধ্যে addsec_secondary2@moedu.gov.bd এবং mominur_rashid@yahoo.com মেইল ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ছকে ১৩টি তথ্য চাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- ডিভিশন কোড, জেলা কোড, উপজেলা কোড, প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর, নাম, শিক্ষক-কর্মচারীর নাম, পদবি, জন্ম তারিখ, এনআইডি নম্বর ইত্যাদি।