২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৩

দূরত্ব যতই হোক শিক্ষার্থীদের ভাড়া ৫ টাকা

  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের ভাড়া ৫ টাকা- স্কুল কিংবা মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা করতে শিক্ষার্থীদের একপ্রকার ঝুঁ’কি নিয়ে উঠতে হয় বাস কিংবা টেম্পোতে। এবার সেই দুর্ভোগ থেকে ‘মুক্তি’ মিলছে। জানা গেছে, দূরত্ব যতই হোক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হবে মাত্র পাঁচ টাকা।

শিক্ষার্থীদের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রামে। রোববার নগরীর শিক্ষার্থীদের জন্য নামছে ১০টি দ্বিতল বাস। দুই রুটে দিনের দুই বেলায় চলবে এসব বাস।

এই ‘স্টুডেন্ট বাস’ সেবা চালু হলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও পরিবহন ব্যয় কমবে, অন্যদিকে গণপরিবহনের ওপর চাপও কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রাম জে’লা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সূত্র জানায়, দ্বিতল এই বাসগুলোর প্রতিটিতে ৭৩টি করে আসন রয়েছে। প্রথম থেকে এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এসব বাসে উঠতে পারবে। ভাড়া নেওয়ার জন্য বাসগুলোতে থাকবে না কোনো চালকের সহকারী। বাসের সামনে ও পেছনে সংরক্ষিত তালাবন্দী ‘সততা বাক্সে’ ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াত করবে।

১০টি বাস সকাল ও বিকেল—এই দুই দফায় দুটি রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে পাঁচটি বহদ্দারহাট থেকে ছেড়ে বাদুড়তলা, মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারি, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালি হয়ে নিউমা’র্কেট মোড়ে যাবে। আবার একইভাবে বহদ্দারহাট মোড়ে ফিরে আসবে।

অন্যদিকে বাকি পাঁচটি বাস অক্সিজেন থেকে মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদ যাবে। একইভাবে অক্সিজেনে ফিরে যাবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেমে শিক্ষার্থীদের ওঠানো-নামানো করা হবে।

স্টুডেন্ট বাস তদারকি কমিটির প্রধান ও অ’তিরিক্ত জে’লা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক বলেন, পৃথক বাস সার্ভিস চালুর জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এসব বাসে উঠতে পারবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আ’ন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাসসেবা চালুর দাবি উঠেছিল। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বাস বরাদ্দের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এত দিন ধরে দ্বিতল বাসের চালকসংকট ও পরিবহন ব্যয় সংস্থানের কারণে বিষয়টি এত দিন ঝুলে ছিল। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাসিক বিজ্ঞাপন চুক্তি হওয়ার পর সেই সমস্যা দূর হয়েছে।