স্কুলের পাশে লাশকাটা ঘর, গন্ধে-ভয়ে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫১ AM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৫১ AM
মাদারীপুরে সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্র দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। লাশের দুর্গন্ধে ব্যাহত হচ্ছে সেখানকার শিক্ষা কার্যক্রম। এমনকি অনেকে ভয়ে থাকেন বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর পুলিশ লাইন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্র। সেখানে পুলিশের উদ্ধার করা পচা, অর্ধগলিত লাশ রাখা হয় দীর্ঘসময় ধরে। এর দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ছড়িয়ে পড়ছে রোগজীবাণু।
শিক্ষার্থীরা বলেছে, তারা খুব ভয় পায়। লাশের গন্ধে ক্লাস করতে পারি না। ভয়ে অনেকে কান্নাকাটি করে। সে শব্দে ক্লাস করতেও সমস্যা হয় তাদের।
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদেরও একই অবস্থা। ময়নাতদন্ত কেন্দ্রটি ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে হওয়ায় প্রায়ই পাঠদান বন্ধ রাখা হয় লাশের দুর্গন্ধে। চরম বিড়ম্বনায় পড়েন আবাসিক হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরাও।
তারা জানান, অনেক পচা লাশও আসে। সেই গন্ধে তাদের খুব সমস্যা হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ ব্যাপারে একাধিকবার জানালেও বিষয়টি আমলে নেয়নি কেউ। এক শিক্ষক বলেন, ‘আমরাও ভয় পাই।’
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ময়নাতদন্ত কেন্দ্রটির আধুনিকায়ন হলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা।
জেলার সিভিল সার্জনের মনে করেন, ময়নাতদন্ত কেন্দ্রটি সংস্কার হলে সমস্যার সমাধান হবে। মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ রাখার ফ্রিজ রাখতে পারলে এ সমস্যা হবে না বলে আশা করি।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর সদর হাসপাতালে বছরে গড়ে একশ’টি ময়নাতদন্ত করা হয়।