এমপিও তালিকায় নেই আন্দোলনের শীর্ষ দুই নেতার প্রতিষ্ঠান!
দীর্ঘ ৯ বছর পর দুই হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে এ ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
সব যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হলো তাদের এই যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে।’ এসময় সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি।
বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ-৮ম) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ-১০ম) ৯৯৪টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৮টি, কলেজ ৯৩টি, ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি রয়েছে।
কয়েকবছর ধরে এমপিওর দাবিতে মাঠে ছিলেন ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়। তবে তাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওর তালিকায় স্থান পায়নি। এটিকে ভাগ্যের পরিহাস বলে উল্লেখ করছেন অনেকে।
গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারের প্রতিষ্ঠান খুলনা আইডিয়াল কলেজ। আর বরিশাল উজিরপুরে বিনয় ভূষণ রায়ের জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ। বর্তমান নীতিমালার আলোকে এবার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ নীতিমালায় অসঙ্গতির কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো তাদের প্রতিষ্ঠারও বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির শতাধিক সদস্যের মধ্যে মাত্র পাঁচ জনের প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় এসেছে বলে জানা গেছে। এই সংঠনের ব্যানারে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
যে পাঁচ নেতার প্রতিষ্ঠান এমপিও পেয়েছে তারা হলেন, চার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল সোহরাব হোসেন, রংপুর অধ্যক্ষ শওকত হায়াত প্রধান বাবু, ঢাকা রফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ শাহজাহান সিরাজ এবং খুলনার প্রচার সম্পাদক ফিরোজ।