১৬৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত, সিদ্ধান্ত হয়নি মাদ্রাসা-কারিগরির
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৪১ AM , আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৪১ AM
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এক হাজার ৬৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার এ সংক্রান্ত ফাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় ১১৬টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত থেকে বাদ পড়েছে। এছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের এমপিও ফাইলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে প্রতিষ্ঠান এমপিও হলেও ওই শিক্ষকের একাডেমিক যোগ্যতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক হতে হবে। তবেই এমপিও সুবিধা পাবেন তিনি। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব দেশের বাইরে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রশাসনিক কাজ শেষ। প্রজ্ঞাপন কবে হবে সেটা শিক্ষামন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতনরা বলতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জট খুলল। এতে অন্তত ৩০ হাজার শিক্ষকের বিনা বেতনে চাকরি জীবনের অবসান ঘটবে।
সূত্র জানিয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী সব যোগ্যতা অর্জনের পরও ১১৬টি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক কারণে বাদ পড়েছে। এছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাইল পাঠানো হলেও তা মন্ত্রণালয়ে আসেনি।
এাদকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এমপিওর বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা পাঠানো হয়েছে। তবেএমপিও অনুমোদনের ফাইল এখন পর্যন্ত আমার বিভাগে আসেনি।’
সূত্র জানায়, গত বছর ৫ থেকে ২০ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি করা সফটওয়্যারের মাধ্যমে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়। এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী, চারটি মানদন্ডে প্রতিষ্ঠান যাছাই করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের বয়স ২৫ নম্বর, শিক্ষার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বর, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ নম্বর এবং পাসের হারে ২৫ নম্বর করে ১০০ নম্বরের গ্রেডিং করা হয়। এছাড়া এমপিওভুক্তির জন্য পাঁচটি স্তর নির্ধারণ করা হয়।
এমপিওর জন্য মোট আবেদন জমা পড়ে ছয় হাজার ১৪১টি। যাচাই-বাছাই ও তদবিরে বিশেষ বিবেচনায় এক হাজার ৭৬৭টি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এতে ৫৫১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এক হাজার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬৭টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৯৪টি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ এবং ৫৩টি ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) ছিল।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এক হাজার ১৬৫১টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তবে কোন শাখায় কতটি প্রতিষ্ঠান সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ৮৯টি উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তবে সমতার স্বার্থে এসব উপজেলায় নীতিমালার ২২ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশেষ বিবেচনায় শর্ত শিথিল করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ৬১টি প্রতিষ্ঠানকে তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দুর্গম ও পার্বত্য এলাকা, পাহাড়ি, হাওড়-বাঁওড়, চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকার ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫০০ জন বা তার বেশি এবং কমপক্ষে দুই বছরের স্বীকৃতি থাকার শর্ত পূরণ করতে হয়েছে।