পাঠ্যবই থেকে ‘বিবর্তনবাদ’ বাতিলের দাবি

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নবম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে ‘বিবর্তনবাদ’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ এনে তা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটি পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, পাঠ্যবইয়ে বিবর্তন শিক্ষার নামে নাস্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণার প্রতি উদ্দীপ্ত করে এবং আল্লাহর অস্তিত্ব, পরকাল ও ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসী এবং ভোগবাদের প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে- এমন পাঠ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়ানো হচ্ছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে ধর্মকে উল্লেখ করেছে ‘নিরক্ষর সমাজের সরল মানুষের চিন্তা-চেতনার ফসল’ হিসেবে।

তিনি বলেন, এই বিবর্তনবাদের শিক্ষা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই যে গুরুতর আপত্তিকর এমন নয়, বরং পৃথিবীর লাখ লাখ ডক্টরাল বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন, পৃথিবীতে কখনো এভাবে বিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটেনি। বিবর্তন ঘটে প্রজাতির বয়স, আকৃতি, বৈশিষ্ট্য-এর উপরে। কিন্তু বিবর্তনের দ্বারা নতুন প্রজাতির কখনো উদ্ভব হয় না।

অনতিবিলম্বে পাঠ্যবই থেকে ইসলামী আকিদা-বিশ্বাস এবং সংবিধান বিরোধী ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষা বাতিলের জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ‘বিবর্তনবাদ’ অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা তফাজ্জুল হক আজীজ, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুতিউর রহমান গাজীপুরী, অর্থসম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন এবং দফতর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ