০৭ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০১

অরক্ষিত ফুটপাত ড্রেনে পড়ে গুরুতর আহত রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী, নিরব প্রশাসন

আহত ইয়াসির আরাফাত, খোলা ড্রেন  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা ইয়াসির আরাফাত ফুটপাতের খোলা ড্রেনে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাস সংলগ্ন জাদুঘরগামী সড়কের পাশে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খোলা থাকা ফুটপাতের ঢাকনায় অসচেতনতা ও অন্ধকারের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ৩টায় রাজশাহী কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন করেন কলেজ শিক্ষার্থী, জুলাই আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন নাগরিক সমাজ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ৩৬-জুলাই পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, সাংস্কৃতিক কর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু, ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)-এর সাধারণ সম্পাদক এবং বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ছাত্র প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম সৌরভ, ছাত্রনেতা নাদিম সিনহা প্রমুখ।

ইয়াসিরের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বন্ধু আল মাহমুদ জানান, মঙ্গলবার রাতে মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে অন্ধকারে ফুটপাতের ড্রেনে পড়ে যান ইয়াসির। তিনি গুরুতর আহত হন এবং সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু আশানুরূপ চিকিৎসা না পাওয়ায় পরে খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানানো হয়।

মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক কর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ইয়াসির আরাফাতের এই দুর্ঘটনার জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও রাজশাহী কলেজ প্রশাসনের অবহেলা দায়ী। বহুবার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

৩৬-জুলাই পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামান কাদেরী বলেন, ‘ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকা লজ্জাজনক এবং দীর্ঘদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তা নিয়ে গা করেনি। এর আগেও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা থেকেই যাচ্ছে।’

বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজ সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকার সব খোলা ম্যানহোল ঢেকে ফেলার দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।