২৪ মার্চ ২০১৯, ১২:২৩

৯ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

  © টিডিসি ফটো

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ১৪টি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৬ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদিত অ্যাকশন প্ল্যান মোতাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসব উপজেলা নির্বাচন করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাদকমুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া ৬ নির্দেশনাগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্যের মধ্যে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। মাদকের কুফল সম্পর্কে শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করা। শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাদক বিরোধী ক্লাব গঠন করা ও দেয়ালিকা তৈরি করা। ক্লাসভিত্তিক মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করা। প্রতি তিন মাস পর পর প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন করা। এসব সম্মেলনে মাদকের কুফল ও মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ বিষয়ে আলোচনা করা এবং এ বিষয়ে ভিডিও প্রদর্শন করা। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাদকমুক্ত করতে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নেয়া কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

দেশের ৯টি জেলা থেকে ১৪টি উপজেলা নির্বাচিত করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো- ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ, নোয়াখালীর কবিরহাট, পাবনার আটঘরিয়া, মাগুরা জেলা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর, শালিখা, নড়াইল জেলা সদর, কালিয়া, লোহাগড়া, ঝালকাঠি সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি এবং শেরপুরের নকলা উপজেলা।

অ্যাকশন প্ল্যানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর অনুমোদিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অ্যাকশন প্ল্যানে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণার উদ্যোগ রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে এসব ১৪টি উপজেলাকে নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত উপজেলাগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তরগুলো।

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতে গঠিত স্ট্র্যাটেজিক কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে তৈরি করা হয় ‘স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অ্যাকশন প্ল্যান’। যা অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এ প্ল্যানের পাইলট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতি বিভাগের একটি উপজেলা মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৪টি উপজেলাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।